ক্যারিয়ারের ৫০ তম সেঞ্চুরি করলেন ভিরাট কোহলি

১২ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। নিজেদের পরিচিত কন্ডিশন, নিজেদের মতো করে সবকিছু গুছিয়ে নেয়া এবং টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান পারফরম্যান্স। সবকিছু মিলিয়ে সবাই বলতেছে ভারতই এইবার বিশ্বকাপ রেখে দিবে। এমনকি, ইন্ডিয়াকে আটকানোর মতো কেউ এই মুহূর্তে নাই।

বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রানে জিতছে ভারত। টসে জিতে ব্যাটিং নেবার পর ইন্ডিয়া ৫০ ওভারে ৩৯৭ রানের বিশাল টার্গেট দাঁড় করাইছে নিউজিল্যান্ডের সামনে।

ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি এখন ভিরাট কোহলির। অতিক্রম করলেন শচীন টেন্ডুলকারকে।

by Star Sports

ম্যাচের সবচেয়ে হাইলাইটেড অংশ হলো, ভিরাট কোহলির ৫০ তম সেঞ্চুরি এবং একইসাথে শচীন টেন্ডুলকারকে ক্রস করা। শচীন টেন্ডুলকার ৪৬৩ ওয়ানডে ম্যাচ থেকে করছিলেন ৪৯টা সেঞ্চুরি। কিন্তু, ভিরাট কোহলি ২৯১ ওয়ানডে ম্যাচ থেকে করলেন ৫০টা সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সেঞ্চুরির পর ভিরাট কোহলি এবং টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি সমান সমান ছিলো। কিন্তু, গতকাল সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের সাথে সেঞ্চুরির পর টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে গেলেন কোহলি। যদিও টেন্ডুলকার মাঠেই উপস্থিত ছিলেন এবং সেঞ্চুরির পর কোহলিকে শুভেচ্ছা জানাইছেন।

এই ম্যাচেই আরও একজন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করছেন, তিনি শ্রেয়াশ আইয়ার। ৭০ বলে ১০৫ রান। চার মাত্র চারটা কিন্তু, ৮টা ছয়। ভাবা যায়! প্রথম বল থেকেই আইয়ার যেভাবে ব্যাটিং করতেছিলো, একেবারেই কেয়ারলেস। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন কেউ পাত্তা পাচ্ছিলো না এই ব্যাটসম্যানের সামনে। ইঞ্জুরির কারণে শুভমান গিল উঠে গেছিলো। লাস্টের দিকে গিল আবারও নামছে ব্যাটিং করার জন্য। শেষ পর্যন্ত ৬৬ বলে ৮০ রানে নট আউট ছিলো শুভমান গিল। আর কয়েকটা বল ফেস করতে পারলে সেও সেঞ্চুরি করে ফেলতো। কনফার্ম!

কয়েকটা বল বেশী খেলতে পারলে শুভমান গিলও সেঞ্চুরি করে ফেলতো

by BCCI

৩৯৮ রানের টার্গেটে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং-এ নামার পর ৩৯ রানেই আউট হয় ডেভন কনওয়ে এবং রচিন রবীন্দ্র। এরপর, ড্যারেল মিচেল এবং কেইন উইলিয়ামসনের ১৭৯ রানের বিশাল পার্টনারশিপ। এটলিস্ট এই দুইজন ব্যাটসম্যান খুবই দেখেশুনে ব্যাটিং করতেছিলো। ইভেন, রান রেইট মেইন্টেইন করে স্কোর তুলতেছিলো। ম্যাচের এমন কন্ডিশন ছিলো, সবাই ভাবতেছিলো, নিউজিল্যান্ড যদি ৪৮ বা ৪৯ ওভার পর্যন্ত থাকতে পারে, ম্যাচ জিতে যাবে। কিন্তু, মোহাম্মদ শামি যখন কেইন উইলিয়ামসন এবং টম লাথামকে আউট করলো, তারপর ম্যাচটা ভারতের ফেভারে চলে যায়।

কিন্তু, গ্লেন ফিলিপস এবং ড্যারেল মিচেল মিলে আবারও স্কোর তুলতে থাকে। ২৯৫ রানে গ্লেন ফিলিপস যখন আউট হয়, তখন ম্যাচটা নিউজিল্যান্ড আর হোল্ড করতে পারে নাই। ৪৩/৪৪ ওভারের খেলা চলতেছে মাত্র ৬ ওভার বাকি, এখনও ৯০+ রান লাগবে জেতার জন্য। এই যখন অবস্থা, ড্যারেল মিচেল এই প্রেসার নিতে পারতেছিলো না। শেষপর্যন্ত উনি ১১৯ বলে ১৩৪ রানে আউট হন।

আসলে মোহাম্মদ শামি নিউজিল্যান্ডকে একেবারেই শান্তি দেয় নাই। ৫৭ রানে ৭ উইকেট, এই বোলিং ফিগারের দিকে আপনি যদি তাকান, তাহলেই বুঝবেন উনি মাঠে কতটা ডোমিনেট করছে। ব্যাপারটা এমন যে, জাস্প্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ তারপর কুলদীপ ইয়াদাভ, এরাও তো খেলতে নামছে। থাক! এদেরকে ১টা করে উইকেট দেই।

বিস্তারিত ভিডিওতে…

You Might Also Like

Leave a Reply