বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতবে ভারত – ১৩০ কোটি সমর্থকের প্রত্যাশা

নভেম্বরের ১৮ তারিখ। আর, একদিন পরেই ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল। গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে। এর আগের বিশ্বকাপগুলোতে কোনো দল, সেমি ফাইনাল পর্যন্ত এতটা ডোমিনেটিং ক্রিকেট খেলে ফাইনালে যায় নাই। সেমি ফাইনালসহ ১০ ম্যাচের ১০ টাতেই জয়। ১টা সিংগেল ম্যাচ পাবেন না, যেইটাতে ওরা কোনোরকম টানাটানি করে জিতছে।

১২৫-৩০ কোটি জনগণের দেশ ভারত ফাইনালে উঠছে। সো, তাদের পক্ষেই সমর্থন অনেক বেশী। ইভেন, সবাই অলরেডি কনফার্ম যে, ভারত বিশ্বকাপ জিতেই ফেলছে। অবশ্য, কনফার্ম হওয়াই স্বাভাবিক। নিজেদের মাঠ, নিজেদের চিরচেনা কন্ডিশন, নিজেদের পিচ, এই পর্যন্তই শেষ না…বিশ্বকাপের কমিটি টিম বলে কথা।

এই বিশ্বকাপে ভারতীয় দল তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা সময় পার করতেছে

by BCCI

ভারত আগে ব্যাটিং করছে এবং জিতছে। এই রকম ম্যাচগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের সাথে সেমি ফাইনালে ৭০ রানের জয়, ওইটাই সর্বনিম্ন। এছাড়া, ইংল্যান্ডের সাথে ১০০ রানের ব্যবধানে জয়, নেদারল্যান্ডের সাথে ১৬০ রানের জয়, দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ২৪৩ রানের জয়, শ্রীলংকার সাথে তো রেকর্ড ৩০২ রানের ব্যবধানে জয়। আর, যেগুলোতে ভারত রান চেইজ করে জিতছে, গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের সাথে ৪ উইকেটে জয়। এইটাই সর্বনিম্ন। বাংলাদেশ-পাকিস্তান এদের সাথে ৭ উইকেটে জয়। অস্ট্রেলিয়ার সাথে ৬ উইকেটে জয়।

ব্যাটিং লাইনআপ কি বোলিং লাইনআপ, হোস্টিং-এর দায়িত্ব পেয়ে নিজেদের মতো করে সবকিছু এরেঞ্জ করে অপনেন্ট টিমগুলোকে কচুকাটা করতেছে ইন্ডিয়া। এইরকম ধ্বংসযজ্ঞ, নিজের আধিপত্য বিস্তারে চেঙ্গিস খানও চালায় নাই।

মূল ব্যাপার হলো, কন্ডিশনের কথা – সুবিধার কথা যতোই বলি, মাঠে তো ক্রিকেট খেলতে হবে তাই না? প্র্যাকটিস তো সাকিব আল হাসানও করে, লিটন দাস, লর্ড শান্ত-ও করে। কিন্তু, পারফরম্যান্সে এতো গ্যাপ কেনো? কথা হচ্ছে, মাঠে প্ল্যানগুলো পুরোপুরি এক্সিকিউট তো করতে হবে। অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নাই, ভারত নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা পারফর্ম করে, বিশ্বকাপের দাবিদার হয়ে, তবেই ফাইনালে উঠছে। আবারও বলতেছি, এত ধারাবাহিক ক্রিকেট অন্তত বিশ্বকাপে কোনো দল এখন পর্যন্ত খেলতে পারে নাই।

পয়েন্ট টেবিলের একেবারে নীচে চলে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে অসাধারণ কামব্যাক!

by Cricket Australia

অস্ট্রেলিয়ার কথা বললে এতটুকু বলতেই হয়, অসাধারণ কামব্যাক করছে ওরা। ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে গ্রুপ পর্বের দুইটা ম্যাচ হারার পর, পয়েন্ট টেবিলের একেবারে নিচে চলে গেছিলো অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে টানা ৮ ম্যাচ জেতার পর এখন ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনাল ম্যাচে ভারতের মতো এতটা ফেভার না থাকলেও, ফাইটিং যে অস্ট্রেলিয়া দিবে, এতে কোনো সন্দেহ নাই।

অ্যারন ফিঞ্চ, স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হ্যায়জলউডসহ প্রত্যেকে আইপিএলের প্লেয়ার। ভারতের কন্ডিশন থেকে শুরু করে, গেম প্ল্যান, স্ট্রাটেজি ওনারাও জানেন। শুভ কামনা টিম অস্ট্রেলিয়ার জন্য।

বিস্তারিত ভিডিওতে…

You Might Also Like

Leave a Reply