সুইজারল্যান্ডকে কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড
বিগত এক দশক ধরে ইংল্যান্ড ফুটবল দল নিজেদেরকে বড় কিছু অর্জনের জন্য প্রস্তুত করে আসছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর, ইংল্যান্ড তাদের ফুটবল একাডেমিগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দেয়। সেই পরিশ্রমের ফল এখন দেখা যাচ্ছে বর্তমান ইংলিশ স্কোয়াডে, যা প্রজন্মের অন্যতম প্রতিভাবান দল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রতিটি বড় টুর্নামেন্টে ইংলিশ সাপোর্টারসদের প্রিয় স্লোগান ‘ইটস কামিং হোম’ শোনা যায়। যদিও ২০১৮ বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থান আর ২০২০ সালের ইউরোতে রানারআপ হয়ে থামতে হয়েছিল তাদের। এইবারের ২০২৪ ইউরোতেও ইংল্যান্ডকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে জয় এবং সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে তারা।
বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম প্রতিভাবান ফুটবল দল হলো ইংল্যান্ড
ESPN Football
ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড উভয় দলই উপহার দিয়েছে এক ঝিমিয়ে থাকা ফুটবল। পুরো ম্যাচে প্রথম অন টার্গেট শট আসে ৫০ মিনিটে। সময়ের অন্যতম শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়েও ইংল্যান্ড সাফার করেছে। হ্যারি কেইন, জ্যুড বেলিংহ্যাম, বুকায়ো সাকা, ফিল ফোডেন এবং কোল পালমার, সবাই মাঠে থাকলেও কোচ গ্যারেথ সাউথগেট উদ্বিগ্ন সময় পার করেছেন। প্রথমার্ধে দুই দলই খেলেছে হতাশ করা ফুটবল। অন টার্গেট শট ছিল না কোনো দলেরই। এমনকি অফ টার্গেট শটও ছিল মাত্র একটি করে।
তবে মৃতপ্রায় ম্যাচে প্রাণ আসে ৫৪ মিনিটের পর থেকে। সুইজারল্যান্ড তখন থেকে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে।
England Football Team against Switzerland
England Football Team in EURO 2024
সেই আধিপত্যের সুফল আসে ৭৫ মিনিটে। সুইস ডিফেন্ডার ফ্যাবিয়ান শারের নিচু পাস ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোনের পায়ে লেগে ফাঁকায় চলে আসে। সুইস স্ট্রাইকার এমবোলো সেই বলটি আলতো টোকায় জালে পাঠান। গোল হজমের পর ইংল্যান্ডের মধ্যে ম্যাচে ফেরার প্রবণতা দেখা যায়। বুকায়ো সাকার দূর থেকে নেওয়া বাঁকানো শট বারে লেগে জালে চলে যায়। ৭৫ মিনিটে সুইসদের গোলের পর ইংল্যান্ড সমতায় ফেরে ৮০ মিনিটে।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও ইংল্যান্ডকে রক্ষণাত্মক থাকতে হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের অভিজ্ঞ আক্রমণভাগের খেলোয়াড় জের্দান শাকিরি গতি বাড়ান আক্রমণে, কিন্তু গোল আসেনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফয়সালা হয় পেনাল্টি শ্যুটআউটে, যেখানে ইংল্যান্ড ৫-৩ ব্যবধানে জয় পায়।
বিস্তারিত ভিডিওতে…
অন্যান্য পেইজগুলো ঘুরে আসুন…
Leave a Reply