পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেল টাইগাররা। এর ফলে নিজেদের মাটিতে এবারই প্রথম ১০ উইকেটে হারল পাকিস্তান

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪তম টেস্টে এসে প্রথম জয় পেল টাইগাররা। এর আগে তাদের মাটিতে কখনও ড্রও করতে পারেনি তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচেই ড্র করতে পেরেছিল বাংলাদেশ, ২০১৫ সালে খুলনায় হয়েছিল সেটি। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রা করে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক পাকিস্তান। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় ৫৬৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান ১৪৬ রানে অলআউট হলে সফরকারীদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় স্রেফ ৩০ রানের।

ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক পাকিস্তান। শেষদিনের শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের।

by cricinfo

শেষদিনের শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে শান মাসুদকে আউট করেন হাসান মাহমুদ। শুরুতে অবশ্য আম্পায়ার আউট দেননি। পরে রিভিউ নিলে রিপ্লেতে দেখা যায় মাসুদের ব্যাট ছুঁয়েই বল যায় উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসের গ্লাভসে। ৩৭ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান শান মাসুদ। এরপর ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে নিয়ে দলের হাল ধরেন বাবর আজম। এবার দলকে সাফল্য এনে দেন নাহিদ রানা। তার বল ইনসাইড এজ হয়ে চলে যায় ৫০ বলে ২২ রান করা বাবরের স্টাম্পে। পরের ওভারে এসে পাকিস্তানকে আরও চাপে ফেলে দেন সাকিব আল হাসান

তার বলে স্টাম্পিং হন চার বলে কোনো রান না করা সৌদ শাকিল। নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ডাক মারেন এই ব্যাটার। তাকে ফেরানোর পর মরিয়া হয়ে ওঠেন নানাদিক থেকে চাপের মুখে থাকা সাকিব। প্রতিটি বলই তিনি করছিলেন ভীষণ মনোযোগ দিয়ে। ৩৩তম ওভারের প্রথম বলে রিজওয়ানের প্যাডে বল লাগলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিতে চায় তারা, কিন্তু ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে ১৫ সেকেন্ড সময়। 

সাকিব আল হাসান পরের বল করতে গেলে উইকেট থেকে সরে যান রিজওয়ান। তখন হাওয়ায় বল ছুড়ে মারেন সাকিব, সেটি লিটন ধরেন। আম্পায়ার এরপর এ নিয়ে অসন্তোষও জানান। ওই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান আব্দুল্লাহ শফিক। ৮৬ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। 

এই চাপ আরও বেড়ে যায় এক বল পরই সালমান আগা আউট হলে। কোনো রান করার আগেই স্লিপে দাঁড়ানো সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। সেশনের বাকি সময়টুকু শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে কাটিয়ে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিরতি থেকে ফেরার এক ওভার পরই মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এরপর নাসিম শাহকে আউট করেন সাকিব। তবুও বাংলাদেশের জয়ের পথে কাঁটা হয়েছিলেন রিজওয়ান। তার ব্যাটে চড়েই লড়াই করার স্বপ্ন দেখতে থাকে পাকিস্তান। আগের ইনিংসে দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলা রিজওয়ান এবারও পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরি। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন খুররম শেহজাদও।

Photo – Nazmul Hasan Shanto

Photo – Bangladesh Scoreboard

বাংলাদেশের হতাশাটা লম্বা হতে দেননি মিরাজ। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে বল স্টাম্পে টেনে আনেন রিজওয়ান। ৮০ বলে ৫১ রান আসে এই উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকে। তার বিদায়ের পর পাকিস্তানের অলআউট হতেও আর বেশি সময় লাগেনি। ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা, বাংলাদেশের বিপক্ষে যেটি তাদের টেস্টে সর্বনিম্ন। এতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় স্রেফ ৩০ রানের।

বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ চার ও সাকিব নেন তিন উইকেট।

রান তাড়ায় নেমে কোনো উইকেটই হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে। দুই ওপেনারই বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। সালমান আগাকে সুইপ করে চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন জাকির। টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে এখন শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত বাদে সবাইকে হারাল বাংলাদেশ

বিস্তারিত ভিডিওতে…

অন্যান্য পেইজগুলো ঘুরে আসুন…

You Might Also Like

Leave a Reply